বাড়ি-ঘরের মায়া মনের মধ্যে রেখেই স্বজনদের নিয়ে নিরাপদে থাকতে জড়ো হয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে; আতঙ্কের রাত পেরিয়ে সকালের ভাগেও প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর দাপট চলতে থাকায় আর ফেরা হয়নি। বিকালের দিকে বৃষ্টি মাথায় উপকূলবাসীদের অনেকে যখন ফিরেছেন নিজেদের প্রিয় আঙ্গিনায় ঝড়ের তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন দেখতে হয়েছে তাদের।
একশ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের বেগ নিয়ে ধেয়ে আসা ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস আর ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু বানের তোড়ে ধ্বসে পড়েছে অনেকের ঘর; গাছপালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর, নিচু এলাকার বাড়ি ডুবেছে পানিতে আর ভেসে গেছে মাছের ঘের। উপকূলজুড়ে ভেসে উঠতে শুরু করেছে ঝড়ের রেখে যাওয়া ক্ষত।
ক্রমে প্রবল হয়ে ওঠা এই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর তাণ্ডবে উপকূলের জেলাগুলো ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জেলার শতাধিক উপজেলা। ঝড় উপকূল পার হওয়ার সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে; জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ।