জাতীয় নির্বাচন শেষ। রাজপথে কোনো আন্দোলন নেই। রাজনৈতিক অঙ্গন অনেকটা শান্ত। তবুও আদালতপাড়ায় বিরোধী নেতাকর্মীর ভিড় কমছে না। নিয়মিত মামলা আর আত্মসমর্পণে প্রতিদিনই ছুটতে হচ্ছে এক আদালত থেকে আরেক আদালতে। কখনও উচ্চ আদালতে, আবার কখনও নিম্ন আদালতে। এক বারান্দা থেকে আরেক বারান্দা, এক আইনজীবীর চেম্বার থেকে আরেক আইনজীবীর চেম্বারে। এটাই এখন তাদের নিয়মিত কাজ। যারা কারাগারে আছেন, তাদেরও প্রায় একই অবস্থা। প্রায় প্রতিদিন প্রিজন ভ্যানে প্রচণ্ড গরমে গাদাগাদি করে নিয়ে আসা হয় আদালতে। অপেক্ষমাণ আইনজীবী, স্বজন ও কর্মীদের নিয়ে চালাতে হচ্ছে আইনি লড়াই।
আইনজীবী ও স্বজনরা জানান, জামিনের আশায় আদালতে গেলেও হতাশ হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মী। জামিনযোগ্য হলেও বেশির ভাগ মামলায় আবেদন নামঞ্জুর করে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। তারা বলছেন, রাজনৈতিক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির জন্য কোনো মামলা পরিচালনা করা হয় না। বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে।