ক্রমাগত ক্লান্তি অনুভব করলে, অল্পতেই মেজাজ বিগড়ে গেলে, স্বচ্ছভাবে চিন্তা করতে না পারলে, জিবে প্রলেপ পড়লে, ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়লে, এমনকি অ্যাসিডিটির লক্ষণ দেখা দিলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলেও শরীরকে ডিটক্স করতে বলা হয়ে থাকে। অথচ বাস্তবতা হলো, এসবের কোনোটিই শরীরে ‘বিষাক্ত পদার্থ’ জমা হওয়ার লক্ষণ নয়।
আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়ার মূল কাজটি করে লিভার এবং কিডনি। কাজেই ডিটক্স প্রক্রিয়া আপনার-আমার অজান্তেই চলতে থাকে দেহের অভ্যন্তরে। কোনো বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহকে ডিটক্স করতে যাওয়ার প্রয়োজনই নেই। উল্টো কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিটক্স উপাদানের কারণেই দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই জানালেন রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান।