একীভূতকরণ নিয়ে রীতিমতো টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে পুরো ব্যাংক খাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মানতে গড়িমসি করছে ব্যাংকগুলো। কর্মীরা আছেন চাকরি হারানোর আতঙ্কে। আর উদ্বেগে থাকা গ্রাহকেরা তুলে নিচ্ছেন আমানতের টাকা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একীভূতকরণ কার্যক্রম নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এখন অনেকটাই দোলাচলে আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একীভূতকরণকে কেন্দ্র করে অন্তত দুই ডজন ব্যাংকে আস্থায় ধস নেমেছে। এসব ব্যাংক থেকে গ্রাহকের আমানত তুলে নেওয়ার হার অনেক বেড়ে গেছে। কোনো কোনো ব্যাংক ধারদেনা করে গ্রাহকের চাহিদা মেটাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক খাতের এই অস্থিরতা কমাতে না পারলে টাকা তোলার চাপ সামলানো কঠিন হবে।
ব্যাংকগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের একীভূত ঘোষণার পরের কার্যদিবস থেকে ওই দুই ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকেও টাকা তোলার হিড়িক পড়ে। গতকাল পর্যন্ত বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, জনতা, এবি ব্যাংকসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা অস্বাভাবিক হারে টাকা উত্তোলন করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি উত্তোলন করা হয়ে গেছে ব্যাংকগুলো থেকে। শুধু বেসিক থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।’