‘আমি স্বেচ্ছায় চলে এসেছি। ভুলটা আমারই ছিল। তোমরা কাউকে দোষ দিয়ো না। আমার আর বাড়িতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। ১০ মিনিট পর আমার বিমান ছেড়ে দেবে। মোবাইলেও পাওয়া যাবে না। আমার নামে বদনাম ছড়িয়ে দিয়ো না।’
২ এপ্রিল ছোট বোনের মোবাইল ফোনে এই বার্তা পাঠায় রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের এক পাহাড়ি তরুণী। এর এক দিন আগে থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বোনকে ওই বার্তা দিয়ে তিনি পাড়ি জমান চীনের পথে। চীনে নারীদের ব্যাপক চাহিদা আছে। এক সন্তান নীতির মারপ্যাঁচে পড়ে দেশটিতে এখন নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক পুরুষ বিয়ের জন্য নারী পাচ্ছে না।
সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মাঠে সক্রিয় পাচারকারী চক্র। বাংলাদেশের পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চীনাদের চেহারার মিল আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চক্রের সদস্যরা উন্নত জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে পাহাড়ি পরিবারগুলোকে রাজি করাচ্ছে। এরপর তরুণী-কিশোরীদের পাচার করা হচ্ছে চীনে। এ কাজে সুবিধার জন্য অনেক সময় এ দেশেই চীনাদের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বা বিয়ের জাল কাগজ তৈরি করা হচ্ছে।