দরিদ্র ঘরে জন্ম নেওয়া আসমা। মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছে রাজধানীর ভাষানটেক বস্তিতে। একদিন এলাকার পরিচিত বাড়ির কর্ত্রী আসমার মাকে বলেন, তাঁর বাড়ির কাজকর্মে সাহায্যের জন্য একজন কম বয়সী মেয়ের প্রয়োজন। অভাবের তাড়নায় মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে অপারগ মা, সংসারে কিছু আয় হওয়ার কথা ভেবে মেয়ে আসমাকে কাজে পাঠাতে রাজি হন। মাত্র ১১ বছরের আসমা নিজ বাসা ছেড়ে, অন্যের বাড়ির সব কাজ করতে শুরু করে।
কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকেই আসমা গৃহকর্তার আচরণে অনিরাপদ ও ভয় অনুভব করত। আসমা ঘুমিয়ে থাকলে গৃহকর্তা গায়ে হাত দেওয়ার মতো নানা রকম যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করতেন। স্বামীর আচরণ সম্পর্কে গৃহকর্ত্রীকে জানানো হলে তিনি আসমাকে চুপ থাকার নির্দেশ দেন। তবে গৃহকর্তার বাজে আচরণের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে, আসমা তার মাকে জানায়। আসমার মা গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আসমাকে তার বাড়িতে আর কাজে রাখবেন না বলে জানিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে তিনি মেয়েকে নিয়ে আসেন। জীবিকার তাড়নায় আসমার মা এরূপ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও মেয়ের যত্ন নিতে পারেননি; বরং অল্প কিছুদিনের মাথায় পুনরায় অন্য বাড়িতে কাজে পাঠিয়ে দেন।