মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা আয় হয় যশোরের বেনাপোল রেলস্টেশনে। তবে বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। ডিজিটাল যুগেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এ স্টেশনে। রয়েছে জনবল সংকট।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ চালু ছিল। যুদ্ধকালীন ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে কিছুদিনের জন্য এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার চালু হয়। কিন্তুু ১৯৭৪ সালে লোকসানের কবলে পড়ে রেল চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুনরায় রেলপথটি চালুর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বেনাপোল যশোরসহ গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল-খুলনা ভায়া যশোরের সঙ্গে ট্রেনটি চালু হয়।
বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেনে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল পরীক্ষামূলক চালু করা হয় কলকাতা-খুলনা ভায়া বেনাপোলের মধ্যে ‘বন্ধন একপ্রেস’ নামের যাত্রীবাহী ট্রেনটি। পরে একই সালের ১৬ নভেম্বর থেকে কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাত্রীবাহী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে।