‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ (‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আর আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা।’)
ঈদের প্রভাতে ঈদগাহমুখী মুসল্লিদের মুখে স্বগতোক্তির মতো এই ধ্বনি উচ্চারিত হয়। আল্লাহ পাকের একটা বড় ইবাদাত এক মাস রোজা পালন করার তৌফিক পেয়েছি বলে আমরা মহাখুশি; এর মধ্য দিয়ে আমরা তারই শোকর আদায় করে থাকি।
ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করা। এ জন্যই ঈদের নামাজকে সলাতুশ শোকর বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নামাজ বলা হয়।
মুমিন বান্দার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ইবাদতের মাধ্যমে। আমাদের আনন্দ–উৎসব সবই ইবাদাত। এতে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ রয়েছে। এ কারণে ঈদ পালন করতে হবে আল্লাহর বিধান ও রাসুল (সা.)–এর নির্দেশিত সুন্নত নিয়মের মাধ্যমে। ঈদে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সব ক্ষেত্রে ইসলামি আদর্শ ও সুন্নত অনুসরণ করতে হবে।
রাসুলে করিম (সা.) বলেন: ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত আছে। একটি হলো, যখন সে ইফতার করে; দ্বিতীয়টি হবে যখন সে তার মাবুদ আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’
দীর্ঘ এক মাস রমজানের প্রশিক্ষণের পর ঈদের দিন পুরস্কার প্রদানের দিন। তাই ঈদের আনন্দ ছোট–বড়, ধনী–গরিব সবার জন্য সমান উপভোগ্য।