মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানির দাম বাড়ানোর (সরকারি ভাষ্যে দাম সমন্বয়) যুক্তি হিসাবে যেমন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দোহাই দেওয়া হচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও সেই একই দোহাই এসেছে।
মেট্রোরেল আমাদের জনগণের সম্পত্তি, সেখানে ভ্যাট বসবে নাকি বসবে না, সেই সিদ্ধান্তে কেন আইএমএফের ‘পরামর্শ’ নিতে হবে? আর আইএমএফ কি মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর শর্ত দিয়েছে, নাকি রাজস্ব খাত সংস্কারের শর্ত দিয়েছে? সেই সংস্কার না করে রাজস্ব বাড়ানোর এই অতি সহজ ও অন্যায্য পথ কেন বেছে নিচ্ছে এনবিআর?
যে যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে এনবিআর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা এককথায় অদ্ভুতুড়ে। ট্রেন, লঞ্চ, বাস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে, তাতে ভ্যাটের বিধান রয়েছে। কিন্তু এসব গণপরিবহন এসি হলে তাতে যাত্রীদের বেশ কিছুটা বেশি ভাড়া দিতে হয়।
অপেক্ষাকৃত সচ্ছলেরাই এসি বাস, ট্রেনের এসি কামরা কিংবা লঞ্চের এসি কেবিনে চলাচল করেন। যাত্রী এসিতে যাবে নাকি নন-এসিতে যাবে সেটা তাঁর বেছে নেওয়ার বিষয় । কিন্তু মেট্রোরেলের যাত্রীদের সেটা বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যেমন স্লোগান দিয়েছে, ‘মেট্রোরেল ধনী-গরিব সবার পরিবহন’, বাস্তবতা ঠিক সে রকম না হলেও, মেট্রোরেল মূলত নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের গণপরিবহন হয়ে উঠেছে।