মিয়ানমার একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। ভূকৌশলগত অবস্থান ও বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিধর দেশগুলোর চোখ রয়েছে মিয়ানমারের ওপর। এসব দেশের নিজস্ব স্বার্থ আছে এবং এখানে তারা তাদের বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্ভাবনা এবং অন্যান্য প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। মিয়ানমারের ক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক না কেন, তারা তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নেয়। দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোয় গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্রমাগত সংঘাতে সেসব এলাকার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে; তা সত্ত্বেও মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগ, অস্ত্র ও মাদক বিক্রি, চোরাচালান এবং অন্যান্য লাভজনক বাণিজ্য চলছে। সাধারণ মানুষের চাহিদা এখানে উপেক্ষিত।
মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কিত সব পক্ষ তাদের স্বার্থ দেখার পাশাপাশি জনগণের উন্নয়নের কথা আমলে নিলে অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে এবং এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।