বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমোদন চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবারও আবেদন জানানো হয়েছিল। এমন আবেদন আগেও কয়েকবার করা হয়েছিল। প্রতিবারই সরকার তা নাকচ করেছে। এবারও খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে তাঁর দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তাঁকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে। এটা এখন স্পষ্ট যে, সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা না হলে বিএনপির প্রতি কোনো প্রকার নমনীয়তা দেখানো হবে না। সরকারের পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে না এলে বিএনপির ব্যাপারে সরকারের মনোভাব কঠোরই থাকবে। আন্দোলন করে সরকার পতনের সক্ষমতা যে বিএনপির নেই, এটা সরকার বোঝে।
বিএনপি যত তর্জন-গর্জনই করুক, রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের অনুকূলে নেওয়ার উপায় তাদের জানা নেই। বিএনপিকে মাথা তুলতে না দেওয়ার জন্য যা যা কৌশল নেওয়া দরকার, সরকার তা নেবে এবং নিচ্ছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়াও সরকারের একটি কৌশল। খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবেন এবং বিদেশি মিত্রদের সহানুভূতি-সমর্থন আদায় করবেন, তেমন সুযোগ সরকার দেবে না।