‘ছাড়পত্র’ হাতেই এসেছিলেন তিনি

আজকের পত্রিকা মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৩

‘যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে/ তার মুখে খবর পেলুম;/ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,/ নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার/ জন্মসূত্রে সুতীব্র চিৎকারে।/ খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত/ উত্তোলিত, উদ্ভাসিত/ কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর কালজয়ী কবিতা ‘ছাড়পত্রে’ যে শিশুটির জন্মকথা বলেছেন, তা যেন প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার এক কুটিরে নবজাত এক শিশু সুতীব্র চিৎকারে এই আলো-বাতাসের পৃথিবীতে তার আগমনবার্তা ঘোষণা করেছিল। সেদিন ওই শিশুর চিৎকারের ভাষা সেখানে উপস্থিত কেউ বুঝতে পারেনি। শিশুটি যেন সুকান্তের সেই শিশুর মতো তীব্র চিৎকারে সব অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা ব্যক্ত করেছিল। সেদিন কি কেউ কল্পনা করতে পেরেছিল, ওই শিশুটি একদিন বাংলাদেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ত্রাণকর্তারূপে আবির্ভূত হবে?


মানুষ একসময় যা কল্পনা করতে পারে না, অনেক সময় সেটাই পরিণত হয় রূঢ় বাস্তবে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করেছেন এ দেশ ও জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। জন্মের সময় তিনি যে ছাড়পত্র নিয়ে এসেছিলেন, তা বাস্তবায়িত হয়েছিল তাঁর পঞ্চাশ বছর বয়সে। তিনি অধিকারহারা বাঙালিকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজস্ব স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশ নামের যে জাতি-রাষ্ট্র আজ প্রতিষ্ঠিত, এর মূল স্থপতি তিনি। এ জন্য তাঁকে পাকিস্তানি শাসকচক্রের রোষানলে পড়ে জীবনের প্রায় তেরো বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। এমনকি বিচারের নামে প্রহসন করে তাঁকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও চূড়ান্ত করে ফেলেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু তারা প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে।


আমাদের এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনেক দেশবরেণ্য নেতার অবদান রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনমুক্ত পাকিস্তানের পূর্বাংশ হিসেবে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, তা পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল না। প্রভু বদল হয়েছিল মাত্র। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক-শোষকচক্র পূর্ব বাংলাকে তাদের উপনিবেশ বানিয়ে স্বার্থ হাসিলে তৎপর ছিল। এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে ওরা কায়েম করেছিল স্বৈরতান্ত্রিক শাসন। সেই ঔপনিবেশিক শাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করতে প্রাতঃস্মরণীয় যে কজন নেতা যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের মধ্যে অনন্য। তাঁর চেয়ে অভিজ্ঞ, বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক নেতাই পূর্ব বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু সময়োচিত সঠিক সিদ্ধান্ত ও ভূমিকার জন্য তিনি তাঁদের সবাইকে টপকে গেছেন। সময়ের বরপুত্র ছিলেন তিনি। সময় তাঁকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ নামের জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি হয়েছেন ইতিহাসের কিংবদন্তি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us