প্রেমিক বা প্রেমিকা চলে গেলে মানুষ হয়ে পড়ে ‘শূন্য জগতের বাসিন্দা’। এমনটি বলেছেন হুমায়ূন আহমেদ। শূন্য হয়ে যাওয়া এমন মানুষ ঠিক কতটা অসহায় হয়ে পড়েন? না, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা মাপার কোনো পরিমাপক নেই। ফলে দলা পাকানো উদ্গত কান্না চেপে তাঁরা কেবল এটুকু বলতে পারেন—কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো! হৃদয় ভাঙার অসহনীয় যন্ত্রণা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে এলোমেলো করে দেয়। গোটা জীবনে এর প্রভাব পড়ে। বিচ্ছেদ-বেদনা ভুলতে নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়ার মতো ভুল পথেও পা বাড়ান। কেউ কেউ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। ইতিবাচক কাজে মনোনিবেশ করেন। ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগী হন। দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ততা বাড়িয়ে দেন। কিংবা গানে-কবিতায় আশ্রয় খুঁজে নেন।
প্রেমিকা চলে যাওয়ার পর খুব বেশি ভেঙে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার অধিবাসী জেফ গোল্ডব্ল্যাট। দুঃখভারাক্রান্ত মানুষটা ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন এমন কিছু করতে, যা তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে। এ সময়ই তাঁর মাথায় আসে ‘দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন’ গোছের একটা দিবস চালুর ভাবনা। ভাবলেন, তিনি তো একা নন, এমন বেদনাহত মানুষ আছে প্রচুর। তারাও হয়তো ব্যাপারটা থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারে। যেই ভাবা সেই কাজ। জেফ একটি কবিতা লিখলেন এবং একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে পোস্ট করলেন। মুহূর্তে দারুণ সাড়া পড়ে গেল। ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বিচিত্র এই দিবস নিয়ে ফিচার প্রকাশ করল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠল দিনটি।