গ্যাসের দাম বাড়ানোর দু’দিনের মাথায় বাড়ানো হয় পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের দাম। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রান্তিক গ্রাহক থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষি, শিল্প– সব খাতেই বেড়েছে দাম। এ নিয়ে গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। এমন পরিস্থিতিতে ছোট-বড় ও মাঝারি শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের মতো রপ্তানিমুখী শিল্পে উৎপাদন হ্রাসে চাপ বাড়বে অর্থনীতিতে। অন্যদিকে দেশের কৃষি পড়েছে বড় সংকটে। এমনিতেই সার-ডিজেলসহ সব কৃষি উপকরণরে দাম বেড়েছে, তার ওপর বিদ্যুতের দাম বাড়ায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ নিয়ে কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
বোরো আবাদ প্রায় পুরোটাই সেচনির্ভর। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সেচ নিয়ে বিপাকে কৃষক। গত বছর কয়েক দফা বিদ্যুৎ, সার, ডিজেল-কেরোসিনের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধির পর চলতি বছর আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। একই রকম চাপে পড়েছে পোলট্রি ও ডেইরি খাত। দেশের বাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি কৃষি ও খাদ্যপণ্যের সরবরাহ চেইনে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। সে ক্ষেত্রে গোটা অর্থনীতিতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরাও আশঙ্কা করছেন।