আগুন নিভে গেলেই কর্তব্য ফুরিয়ে যায় না

জাগো নিউজ ২৪ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৫

আগুনের শিখা নিভে গেলে দগ্ধাবশেষের পার্শ্বেই পড়ে থাকে এক নির্মম সত্য— এই আগুনই শেষ নয়। বেইলি রোডের আগুনও শেষ নয় যদিও কত কিছু যে বলবেন এখন আমাদের নিয়ন্ত্রক আর নীতি নির্ধারকরা। এ লেখা শুক্রবার দুপুরে যখন লিখছি তখন টেলিভিশনের স্ক্রলে ভেসে আসছিল পরিসংখ্যান– ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল রেস্তোরাঁ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। গুরুতর আহত রয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


দিনটি ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। প্রতি চার বছর পর এমন দিন আসে। কিন্তু কেন যে এসেছিল এমন একটা দিন এখন সেটাই মানুষের কাছে প্রশ্ন। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে যারা এই লিপ ইয়ার উদযাপনের জন্য বড় ছাড় দিয়েছিল বিরিয়ানির দামে। পুরো ভবনে খাবারের দোকান, সবগুলোর রান্নাঘর চলে সিলিন্ডার গ্যাসে। তলায় তলায় স্তুপ করা গ্যাসের সিলিন্ডার। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান। ২৯ ফেব্রুয়ারি বিধায় ভিড় আরও বেড়ে গিয়েছিল।


কেমন ছিল এই ভবনটির অবস্থা সেটা জানা গেল আগুনের এত্তগুলো প্রাণ চলে যাবার পর। প্রতিটিতে সিঁড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। আগুনে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে একের পর এক। ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ভ্যান্টিলেটরের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।


একই দিনে জাতীয় বীমা দিবস ছিল। সেখানকার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না”। এখন ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, সিটি কর্পোরেশন কর্তারাও নানা কথা বলবেন।


একটি করে ঘটনা ঘটে আর আমরা এসব কথা শুনি। তবে আমরা ভাল করেই জানি কয়েকটি দিন কিছু কথা হবে, কিছু উদ্যোগের কথা বলা হবে তারপর আরেকটি ঘটনা এসে বেইলি রোডের বেদনাকে বহুদূর নিয়ে যাবে। কেউ মনেও রাখবে না কি ঘটেছিল বেইলি রোডে। এই শহরের ভবিষ্যতে আরও অনেক আগুন, আরও অনেক প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি লুকিয়ে আছে।


একটি বহুতল ভবন পুরোটাই খাবারের দোকান, প্রতি তলায় রান্নাঘর, সিঁড়ি আর রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার– এক নতুন খাদ্য সংস্কৃতি এই শহরে। ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোড ও ২৭ নম্বরে, উত্তরায়, বনানীতে, গুলশানে, পুরোনো ঢাকায় এমন অসংখ্য ভবন পাওয়া যাবে। প্রতিটিই ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু সবগুলোই চলছে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us