অযথা ঋণ করে নতুন প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে

বণিক বার্তা এ কে আবদুল মোমেন প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫০

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময়।


সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন করছি এবং একটি সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর প্রাধান্য দিচ্ছি। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ, যুগোপযোগী ও জনবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।


মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লাইফলাইন হিসেবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন যেকোনো দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এর পরও কিছু খবর ও নিদারুণ বাস্তবতা আমাদের ব্যথিত করে। বিশেষত, যখন দেখি জনগণের করের টাকার এডিপি বাস্তবায়নে নয়ছয় বা ধীরগতিতে সরকারের বাড়তি ব্যয় হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রতি মাসে দেশের চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের তথ্য হালনাগাদ করে। তাদের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বাস্তবায়নের এ হার গত ১৪ অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত অর্থবছরে একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিল ২৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরগুলোর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ১৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের হিসাবে বিভিন্ন হারে এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে গত ১৪ অর্থবছরের কোনো অর্থবছরেরই প্রথমার্ধে ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশের কম হারে বাস্তবায়ন হয়নি। আইএমইডির প্রতিবেদন বলছে, মোট ৬১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে।


ডলার সংকটে বিদেশী ঋণ সহায়তার প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তবে আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা যায়, অর্থবছরের অর্ধেক পার হয়ে গেলেও প্রকল্প সাহায্যের এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এছাড়া আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এ উৎসের ব্যয় ১১ শতাংশের কম। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে এখনো খরচের খাতা খুলতে পারেনি সরকারি কর্মকমিশন। আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাস্তবায়ন হার এখনো ৮ শতাংশেরও কম। চলতি অর্থবছর এডিপির মোট আকার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব উৎস থেকে দেয়া হচ্ছে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। বিদেশী ঋণের উৎস থেকে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। মোট ১ হাজার ৩৪০টি প্রকল্পের বিপরীতে এ বরাদ্দ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us