মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ের মধ্যে গোলাগুলি কিছুটা কমলেও নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরো ৬৩ জন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ওই সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে তাদের হেফাজতে নেয় বিজিবি।
এ নিয়ে গত চার দিনে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৩২৭ জন পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন।
হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত কিছুটা কমেছে। গত রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ কমেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটা শব্দ শোনা গেলেও বিস্ফোরণের শব্দ প্রায় নেই। এর মধ্যেই বেলা ১২টার দিকে উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে ৬৩ জন ঢুকেছে।”
এ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম লালু বলেন, “আজ বেলা ১১টার দিকে কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর মিয়ানমার থেকে কিছু বিজিপি সদস্য ছত্রভঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করে। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশে ঢোকায়।”