তিন দিকে বয়ে গেছে স্বচ্ছ জলের ছড়া। মাঝখানে ছোট পাহাড়। সেই পাহাড়ে চোখ পড়েছে ক্ষমতাসীন দলের তিন নেতার। সুন্দর পাহাড়টির মাটি কেটে সেখানে ইটভাটা গড়ে তুলেছেন তাঁরা। এতে পাহাড় তো ধ্বংস হয়েছেই, এখন ইটভাটার জন্য জ্বালানি কাঠ জোগাড় করতে উজাড় করা হচ্ছে বনের গাছ।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নে পাহাড় কেটে এমন অবৈধ ইটভাটা গড়ে তুলেছেন স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতা। তাঁরা হলেন আটারকছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, লংগদু যুবলীগের সভাপতি চান মিয়া ও লংগদু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহামেদ। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এই নেতারা পাহাড় ধ্বংস করে গেলেও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নাকি ইটভাটাটি সম্পর্কে কোনো তথ্যই নেই।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লংগদু সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, মাইনী ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা বটতল তিন ব্রিজ এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তোলা ওই ভাটায় ইট পোড়ানো চলছে। ইটভাটাটির নাম কেবিএম ব্রিকস। সেখানে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এ ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। এ জন্য পাহাড় কেটে সমান করেছেন তাঁরা। এ ইটভাটার প্রধান জ্বালানি স্থানীয় বনের কাঠ।