ভোট শেষ না হতেই গোমাংসের দাম আবার বেড়ে গেছে বলে খবর রয়েছে ১৩ জানুয়ারির আজকের পত্রিকায়। অন্যান্য জাতীয় দৈনিকেও আলাদা করে কিংবা দ্রব্যমূল্য-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভেতর খবরটা রয়েছে। মাস দুয়েক আগে হঠাৎ করে গোমাংসের দাম কমানোর একটা প্রবণতা দেখা দেয় বিক্রেতাদের মধ্যে। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয়। দাম কমিয়ে গোমাংস যে প্রক্রিয়ায় বিক্রি হচ্ছিল, সেটা নিয়ে কিছু অভিযোগও ওঠে।
এ অবস্থায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে গোমাংস বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক হয় আর তাতে গবাদিপশুর খামারিরাও যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গোমাংসের একটা দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয় সেখানে। ওই দামে, কোথাও কোথাও এর কমেও গোমাংস বিক্রি হচ্ছে দেখে ক্রেতারা ছিলেন কিছুটা স্বস্তিতে। এর অবসান ঘটল বলা যায় ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর!
ভোটের সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে বলে অবশ্য মনে হয় না। গোমাংস ব্যবসায়ীদের ‘ম্যানেজ করে’ কিছুদিন একটু কম দামে মাংস খাইয়ে মানুষকে খুশি করা হয়েছে, এ যুক্তি হয়তো কিছুটা খাটত, ভোটটা সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে। তেমন ভোট তো হয়নি। সেটা হলেও গোমাংসের চেয়েও জরুরি খাদ্যপণ্যের দাম যখন বেশি বা বাড়তির দিকে, তখন এর দাম কিছুটা কমালেই বা কী! ভোটের হিসাব এত সহজ নয়। তবে গোমাংসের বাজারে কী হচ্ছে, এর একটা তদন্ত হওয়া দরকার।
মুশকিল হলো, তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জন-আস্থা এখন সম্ভবত যেকোনো সময়ের চেয়ে কম। এরপরও বলতে হয়, একটি নতুন মন্ত্রিসভা হয়েছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন নতুন একজন। তিনি ইতিমধ্যে মিডিয়ায় যেসব বক্তব্য রেখেছেন, তাতে পণ্যবাজারে ‘স্বচ্ছতা’ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন দেখলাম। এ অবস্থায় হাতের কাছে থাকা গোমাংসের দামের হ্রাস-বৃদ্ধির ঘটনাটি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ তিনি নিতে পারেন।