কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুর গ্রাম। গ্রামটির প্রায় পুরো অংশই পড়েছে পাহাড়ি এলাকাজুড়ে। পাশেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরুড়ার উপজেলার সীমান্তে রয়েছে লালমাই পাহাড়ের চন্ডিমুড়া এলাকা।
চন্ডিমুড়ার পাহাড়ের মাথায় রয়েছে সনাতন ধর্মাম্বলম্বীদের তীর্থ স্থান।
পাশেই লালমাই পাহাড়ের অংশেই ৬১ একর জায়গার মধ্যে ৫২ একরের মালিক বন বিভাগ; বাকি ৯ একর জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে জানান ‘বড় ধর্মপুর মানবিক উন্নয়ন সংস্থা’র ব্যবস্থাপক মো. আবুল কাশেম।
তিনি জানান, বছর তিনেক আগেও দিনদুপুরেও মানুষজন ওই স্থানে যেতে ভয় পেতেন। পুরো এলাকাটি ছিল অপরাধী আর মাদক কারবারিদের অভয়ারণ্য।
যদিও গত কয়েক বছরের মধ্যেই পাল্টে গেছে পুরোনো দৃশ্যপট। লালমাই পাহাড়ের সেই পরিত্যক্ত জঙ্গলকে ঘিরে এখন খুলেছে সম্ভাবনার নতুন দ্বার। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে বিভিন্ন ফল-ফসলের চাষ। লাগানো হয়েছে ৭০ হাজারের বেশি বনজ ও ওষুধি গাছ। পাশাপাশি পাহাড় রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে বেকারদের কর্মসংস্থানের।