বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফেরায় পূর্ণতা পায় স্বাধীনতা

ঢাকা পোষ্ট অপূর্ব শর্মা প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৭

স্বাধীনতা অর্জনের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। ময়দানে চলছে তুমুল লড়াই। বাংলায় পাকিস্তানিরা হচ্ছে নাস্তানাবুদ। পালাবার পথ পাচ্ছে না। শত্রুমুক্ত হচ্ছে একের পর এক অঞ্চল। যার কারণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মহাসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা, বিজয়ের রক্তিম সূর্যের জন্য দিচ্ছেন প্রাণ, তার কিন্তু এসবের কিছুই জানার সুযোগ ছিল না।


এমনকি একাধিক দেশ যখন স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে, সেই সংবাদও পৌঁছায়নি তার কাছে। কারণ তিনি ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। হানাদারদের জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটছিল বঙ্গবন্ধুর। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে চলছিল প্রহসনের বিচার।


সেই বিচারে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে জান্তা সরকার। কারাগারেই খোঁড়া হয় তার জন্য কবর। কিন্তু তাতে বিচলিত হননি তিনি। হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে ছিলেন প্রস্তুত। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ছিল, তার মৃত্যু হলেও বাঙালির স্বাধীনতার যুদ্ধ কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। একদিন না একদিন স্বাধীনতা আসবেই। তাই স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন।


সাতচল্লিশ সালে দেশভাগের পর থেকে বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হতে থাকে বাংলার মানুষ। একের পর এক অধিকার বঞ্চনায় প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা, অসীম সাহস এবং সর্বোপরি গণমানুষের পক্ষে অবস্থানের ফলে তিনি হয়ে ওঠেন জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের কারিগর।


১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণার পর ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চালিয়ে যেতে থাকেন স্বাধিকারের আন্দোলন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠেন বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অর্জন করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে জান্তা সরকার। কোনো বাঙালি হবে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তা মেনে নিতে পারেনি শাসকগোষ্ঠী।


শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে সাতই মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি এইদিন কৌশলে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন জাতিকে। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করতে থাকে পাকিস্তানিরা। বাঙালিদের শায়েস্তা করতে সৈন্য সমাবেশ ঘটাতে থাকে তারা। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে শুরু হয় বাঙালি নিধনযজ্ঞ। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন স্বাধীনতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us