সামনে শীত আরও প্রকট হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। প্রকৃতির উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই সত্য, তবে ঠান্ডায় নিজেকে গরম রাখার উপায় কিন্তু আমাদের হাতেই রয়েছে।
শীত মানেই নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন। তাই এই ঠান্ডায় নিজেকে গরম রাখার উপায় কিন্তু নিজেকেই খোঁজে বের করতে হবে, নিজের যত্ন নিজেকেই নিতে হবে।। যত্ন না নিলেই পড়তে হবে বিপাকে। ভুগতে হবে নানা অসুখে। শুধু শীতের পোশাক পরেই নয়, আরও নানা উপায়ে নিজেকে গরম রাখা যায়।
শীতকালে নিজেকে গরম রাখতে যা করবেন:
পোশাক: শীতে সুস্থ থাকতে ভারী পোশাক পরুন। একাধিক জামা খুব ভালো ইনসুলেটরের কাজ করে এবং বাইরের ঠান্ডায় বাতাস ভেতরে ঢুকতে দেয় না। কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য একটা ভারী গরম জামা না চাপিয়ে একাধিক জামা পরা শ্রেয়।
জানলাতে পরান গরমের পোশাক: ঘরের জানলাগুলোতে মোটা কাপড়ের পর্দা লাগিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া শীতের সময় বাইরের ঠান্ডা ঘরে ঢোকা থেকে আটকাতে উলের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ঘর আগের চেয়ে অনেক বেশি গরম হয়ে উঠবে।
রান্নাবান্না: রান্না ঘরটা অন্য ঘরের তুলনায় বেশি গরম থাকে। তার কারণ রান্না। আগুন জ্বেলে বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না কিংবা যেভাবেই রান্না করুন না কেন, সেই তাপ সারা রান্নাঘরকে বেশ গরম করে তোলে।
নিজেকে গরম রাখতে যেসব খাবার খাবেন:
সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী আদা, রসুন ও মধু। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় আদা, রসুন। সুপ বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে আদা খেতে পারেন। কাঁচা আদা খাওয়াতেও উপকার পাওয়া যায়। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এছাড়া শরীর গরম রাখতেও মধু বেশ উপকারী।
শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে মসলা বেশ উপকারী। আলাদা স্বাদ আনতে সুপ, রান্না করা খাবার, সালাদের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। গরম পানীয় যেমন, চায়ের সঙ্গে এটি মেশাতে পারেন।