ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে বসে কাঁদছিলেন সাজনা আক্তার; অপেক্ষায় ছিলেন স্বামীর লাশের জন্য।
মঙ্গলবার মর্গে এসে স্বামীর লাশের জন্য আকুতি জানান তিনি। কিন্তু ময়নাতদন্ত আর ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত করে লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা জানায় পুলিশ। এরপর বুধবার ফের তিনি মর্গে আসেন।
সাজনার দাবি, নেত্রকোণা থেকে ঢাকায় আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতার আগুনে যে চারজনের প্রাণ গেছে, তাদেরই একজন তার স্বামী খোকন মিয়া (৩৫)।
ঘটনার দিন তিনি মর্গে একটি লাশের দাঁত, পাঞ্জাবি আর শরীর দেখে নিজের স্বামী বলে দাবি করেন। পুলিশ পরদিন আসতে বললে ফের মর্গে এসে ধরনা দেন।
সাজনা বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্সটাইল কারখানায় কাজ করেন। খোকন মিয়া ওই কারখানার সহকারী অপারেটর। তাদের ৮ বছরের এক ছেলে ও এক বছরের একটি মেয়ে আছে।