গলার সামনে অবস্থিত প্রজাপতির মতো ছোট কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্ল্যান্ড হলো থাইরয়েড। যা থেকে নিঃসৃত হয় ট্রাই আরোজে থাইরনিন এবং থাইরক্সিন হরমোন। এ হরমোনের কাজ শর্করা ও চর্বির বিপাক ক্রিয়াকে সাহায্য করা। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কমে যাওয়াকে বলে হাইপোথাইরয়েডিজম। আর অতিরিক্ত হরমোন নিঃসৃত হওয়াকে বলে হাইপার থাইরয়েডিজম। বর্তমানে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বেড়েই চলেছে, বিশেষ করে নারীদের মধ্যে।
থাইরয়েড জটিলতার কারণ হিসাবে অটোইমিউন বা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ত্রুটিকে দায়ী করা হয়। কিছু কিছু খাবার থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। যেমন-আয়োডিন, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, থায়ামিন, ভিটামিন বি২ রাইবোফ্লাভিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি৬ বা পাইরডক্সিন এবং সেলেনিয়াম।
আয়োডিন পাওয়া যাবে-সামুদ্রিক মাছ, স্পিরিলুনা, দুধ, ডিম, চিংড়ি মাছ ও আয়োডিনযুক্ত লবণ থেকে। ভিটামিন সি পেতে হলে আমলকী, পেয়ারা, লেবু, কাঁচামরিচ, কমলা, আলু ইত্যাদি খেতে হবে। জিঙ্ক পাবেন গরুর মাংস, কলিজা, মুরগির মাংস, কুমড়ার বীজ, সরিষা ও ডিম থেকে।
ভিটামিন বি১, বা থায়ামিন পাওয়া যাবে ভুসিসহ আটার রুটি, লাল চাল, ওটস, চিনাবাদাম, ইত্যাদিতে। ভিটামিন বি২ বা রাইবোফ্লাভিন আছে দুধ, দই ও দুধজাত খাদ্যতে।
নায়াসিন লাল চাল, ডালিম, মুরগির মাংস, টুনামাছ ইত্যাদিতে আছে। ভিটামিন বি৬ বা পাইরডক্সিন আছে কলিজা, লাল আটা ও লাল চাল, ওটস, আখরোট, পাকাকলা, আম, মিষ্টি আলু থেকে।