স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ

সমকাল হারুন হাবীব প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫২

রণাঙ্গনের একজন যোদ্ধা হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি আমাদের পক্ষে ভুলে যাওয়া কঠিন। নবীন নাগরিকদেরও জানা প্রয়োজন, পাকিস্তানের অপশাসনে ২৩ বছর পিষ্ট হয়ে ৯ মাসের সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা কীভাবে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। কীভাবে প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্ববাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।  


১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি সৈন্যদের গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতার দাবানল শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ফলে নিরুপায় লাখো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে আশ্রয় নিতে শুরু করে। গোটা ভারতে আট শতাধিক শরণার্থী শিবির খোলা হয়। দেশান্তরিত হয় প্রায় এক কোটি মানুষ।    


পাকিস্তানি গণহত্যা শুরুর মাত্র দুই দিন পর, ২৭ মার্চ ১৯৭১, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রথম বিবৃতি দেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘যা ঘটে চলেছে তা কেবল পূর্ববঙ্গের মাটিতে আন্দোলন দমানো নয়, কার্যত নিরস্ত্র মানুষকে ট্যাঙ্ক দিয়ে পিষে ফেলার এক নির্মমতা।’ ৩১ মার্চ লোকসভা ও রাজ্যসভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বসম্মত এক প্রস্তাবে পূর্ববঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানানো এবং সংগ্রামরত মানুষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এর পরই গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। বলা বাহুল্য, ভারতের কার্যকর সমর্থনে।


মুক্তিবাহিনীর লাগাতার আক্রমণে নভেম্বরের শুরুতেই হানাদার পাকিস্তান বাহিনী পর্যুদস্ত হতে থাকে। বাংলাদেশ থেকে নজর সরাতে ৩ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমাংশে ব্যাপক হামলা চালায় পাকিস্তান। ফলে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন– ‘বাংলাদেশের যুদ্ধ আজ থেকে ভারতেরও যুদ্ধ।’ সেদিনই গড়ে ওঠে দুই দেশের যৌথ সামরিক কমান্ড। ঠিক তার দুই দিন পর বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের বহুল তাৎপর্যময় সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us