এক দশকে বৈদেশিক ঋণ শঙ্কার জায়গায় পৌঁছেছে

বণিক বার্তা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮

বৈদেশিক ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো একটি বড় দায় হিসেবে হাজির হয়েছে। এ ঋণ পরিশোধ করা যে খুব সহজ হবে—এমন নয়। এখন রিজার্ভ যে পর্যায়ে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে রিজার্ভ যদি না বাড়ে, প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই, রেমিট্যান্স যদি না বাড়ে তাহলে আমাদের জন্য সে ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে আমরা কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ ডিফল্ট (খেলাপি) করিনি। পাশের দেশ পাকিস্তান যেমন কয়েকবার ডিফল্ট করেছে, আইএমএফ উদ্ধার করেছে। গত বছর শ্রীলংকা ঘোষণা করেছে তারা ডিফল্ট, অর্থ ফেরত দিতে পারবে না। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। ঋণদাতাদের কাছে এখনো বাংলাদেশ আস্থাজনক জায়গায় রয়েছে। তবে ঋণের পরিমাণ আগে যে হারে বেড়েছে সেভাবে বাড়লে হয়তো আমাদের এত চিন্তা করতে হতো না। কিন্তু গত ১০ বছরে ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। সেটা একটা শঙ্কার বিষয়। আগে যেভাবে বেড়েছে সেভাবে বাড়তে থাকলে এভাবে এতটা চিন্তা করতে হতো না। ১০ বছরে এটা বহু গুণ বেড়ে গেছে। সে হিসাবে তা পরিশোধ কঠিন হবে।


আরেকটা বিষয় লক্ষ করা উচিত, ঋণের প্রিন্সিপাল (মূল) ও সুদ দুই-ই পরিমাণে বেড়েছে। আমাদের ঋণের উল্লেখযোগ্য অংশই দ্বিপক্ষীয় (বাইলেটারেল) ও হার্ড লোন, সফট লোন নয়। যেমন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের দেয়া লোন কিন্তু সফট লোন, যাদের সুদের হার অনেক কম। সফট লোনে সুদহার ১ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ২৫ শতাংশের মতো থাকে। সফট লোনের গ্রেস পিরিয়ড এবং রিপেমেন্ট পিরিয়ড বেশি (কখনো কখনো তা ২০-২৫ বছর)। কিন্তু আমরা বিভিন্ন দেশ ও বাণিজ্যিক উৎস থেকে অনেক ঋণ নিয়েছি, যা বাইলেটারেল বা দ্বিপক্ষীয় ঋণ। বিভিন্ন উৎস থেকে নেয়া সরকারি ও বেসরকারি ঋণের সুদও কিন্তু বেশি। এগুলোর বেশির ভাগই কিন্তু স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি। এখন আমাদের কাছে ইমিডিয়েট চ্যালেঞ্জটি হলো স্বল্পমেয়াদি ঋণগুলো ম্যাচিউর (পরিশোধ) করতে হবে। ২০২৬ থেকে অনেক ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে। রূপপুর, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সেটা আমাদের বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে হাজির হবে। 


বিশাল অংকের এ বৈদেশিক ঋণ কতটুকু যৌক্তিক ছিল সে প্রশ্ন উঠতে পারে। ২০২১ সালের আগস্টে আমাদের প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ ছিল। এ অবস্থায় আইএমএফ থেকে আমাদের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হলো। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us