বিশ্বব্যাপী শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডামের ঘোষণা দেওয়ার সময় উদাহরণ টানা হয় বাংলাদেশের। এর কয়েক দিনের মধ্যে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস সতর্ক করেছে যে মার্কিন নীতির লক্ষ্য হতে পারে বাংলাদেশ। এর পরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ভূখণ্ডে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত অগ্রাধিকার সুবিধা বা জিএসপি অব্যাহত রাখতে চাইলে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর পরপর এসব বাংলাদেশের রপ্তানি খাত ও সার্বিক অর্থনীতির জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এসব বার্তাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের শ্রম আইন ও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে যেসব বিষয় সামনে নিয়ে আসছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সমাধানে ব্যর্থ হলে বাণিজ্য-সুবিধা স্থগিত হওয়াসহ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে সার্বিক অর্থনীতিতে।
ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কারও কথার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেবে না। শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন এবং ওই দেশগুলোর নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশগুলো ব্যবস্থা নেবে। পশ্চিমারা শুল্কারোপ ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নিয়ে ফেললে পরিস্থিতি সহজ থাকবে না।’