নির্বাচনী প্রচারে কাগজের পোস্টার, লিফলেট ও কার্ডের সঙ্গে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যাপক চাহিদা থাকে। সব প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা একসঙ্গে শুরু হয় বলে সেই চাহিদার চাপ সামলাতে ছাপাখানা ও আনুষঙ্গিক পণ্যের ব্যবসায়ীদের তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তবে এবারে নির্বাচনী প্রচার ব্যয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে যাবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) তাদের সমমনা অনেক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও নির্বাচন উন্মুক্ত রেখেছে। এই সুযোগে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের অনেকেই ভোট দাঁড়িয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটসহ ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ৩০০ আসনে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে, মানে গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩ হাজার ৬৫ জন। তখন যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৪৮ জন। সেবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ৩৯টি রাজনৈতিক দল।
এবারে প্রতিটি আসনে গড়ে ৯ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাতে আশা করা যায়, ভোটের মাঠ সরগরম থাকবে। সব দল অংশ নিলে অবশ্য নির্বাচন উৎসবের আমেজ পেত এবং প্রচার-প্রচারণাও বেশি জমত। এখন দল ও প্রার্থী কমবেশি যা-ই হোক, মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে পোস্টার, লিফলেট, কার্ড ও ব্যানার-ফেস্টুনের চাহিদা মেটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। যদিও তাঁদের অনেকেই ভালো ব্যবসা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন।
সরেজমিনে গিয়ে আলাপকালে সম্প্রতি রাজধানীর নয়াবাজার, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিল ও পুরানা পল্টন এলাকার মুদ্রণ ও এ-সংক্রান্ত উপকরণের ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন বছর সামনে রেখে নভেম্বর-ডিসেম্বর এমনিতেই বই, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি ছাপানোর একটা চাপ থাকে। এবারে এ রকম সময়েই নির্বাচন পড়ায় তাঁদের বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে।