প্রায় এক যুগ পর নতুন শিক্ষাক্রমে পা দিচ্ছে বাংলাদেশ। পরিবর্তনশীল সমাজ ও বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিক্ষাক্রমের এই পরিবর্তন অনেকটাই স্বাভাবিক মনে করা যেতে পারে। তবে যে ধারায় গত পাঁচ দশক বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আবর্তিত ছিল, সেই জায়গা থেকে ব্যাপক পরিবর্তনের আভাস দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার কথা জানাচ্ছে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে নান্দনিক ও আনন্দময় করার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ প্রণয়নের প্রয়াস হাতে নিয়েছে সরকার।
তবে নতুন শিক্ষাক্রম আঁতুড়ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই তৈরি হয়েছে সমালোচনা। পত্রপত্রিকা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাস্তায় মানববন্ধন-সমাবেশ করে নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধী প্রচারণা লক্ষ করার মতো। এটি আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পরিবর্তন। যে পরিবর্তনের ফলে হয়তো শিক্ষা পৌঁছাবে নতুন দিগন্তে। তবে বাস্তবতার নিরিখে এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কল্পনাপ্রসূত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।