দীর্ঘ সময় প্রেমের পর বিয়ে। তার পর এক ছাদের নীচে দাম্পত্যের বয়সও কম নয়। এতগুলি বছর একসঙ্গে পথ চলার পরেও পাশের মানুষটিকে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না অনেক সময়। কাছের মানুষটি আপনার ভালবাসার গণ্ডি পেরিয়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন কি না, তা বোঝাও সহজ নয়। প্রেমিক অথবা প্রমিকা কিংবা স্বামী হোন বা স্ত্রী, সঙ্গী আপনাকে ঠকাচ্ছেন কি না, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?
কাজ নিয়ে ব্যস্ততা দেখানো
কাজ আর ব্যস্ততা থাকবেই। সেটা ভালবাসার মানুষটিকে সময় না দেওয়ার অজুহাত হতে পারে না। দুইটাই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী কি হঠাৎ করেই একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন? একসঙ্গে সময় কাটানোর কথা তুললেই কাজের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন? সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে একবার ভেবে দেখা যায়। তবে বিষয়টিকে সন্দেহের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না। মনে যদি কোনও দোলাচল তৈরি হয়, তা হলে সরাসরি কথা বলে নিন।
শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনীহা
সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্কের অন্যতম চাবিকাঠি হল শারীরিক সম্পর্কের উদ্যাপন। মনের পাশাপাশি শরীরও সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দু’জনের সম্মতিতেই গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্কের ভিত। খেয়াল করে দেখুন তো, সঙ্গীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কোনও অনীহা তৈরি হয়েছে কি না। যদি হয়ে থাকে, তার মানেই ধরে নেবেন না যে তিনি কারও প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তবে সন্দেহ একেবারে ঝেড়ে ফেলারও দরকার নেই। সতর্ক থাকুন। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি বিষয়টি নিয়ে একান্তে কথা বলে নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ দিন ভুলে যাওয়া
আপনার জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর তারিখ সঙ্গীর কিছুতেই মনে থাকছে না? তাতে মনখারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কেন এমন করছেন সঙ্গী, সেটাও তো একবার ভেবে দেখা জরুরি। সম্পর্ক নিয়ে অনীহা চলে এলে অনেক সময় সঙ্গীর প্রতি গুরুত্ব কমতে থাকে। সেই কারণেই বিশেষ দিনগুলিও মন থেকে মুছে যেতে শুরু করে। তবে সব সময় যে এটাই কারণ, তা না-ও হতে পারে। মনের মধ্যে ক্ষোভ পুষে না রেখে সঙ্গীকে জানিয়ে দিন বিষয়টি।