বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক দমনে সমস্যা কোথায়

বণিক বার্তা মো. গোলাম ছারোয়ার প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩৬

প্রতিদিন যে হারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে তাতে শুধু শঙ্কাই নয়, যুদ্ধের ভয়াবহতা বিরাজ করার কথা। কিন্তু সবার মাঝেই কেন জানি মনে হচ্ছে উদাসীন উদাসীন ভাব। যে পরিবারের সদস্য মৃত্যুবরণ করছে সেই পরিবার অস্থি-মজ্জায় অনুভব করছে বেদনা আর কষ্টের গভীরতা কতটুকু। কতটা নির্মমতা আর দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত স্বজন হারানো পরিবার। এ নিষ্ঠুর পরিণতির ভবিষ্যৎ কোথায়। আমরা অনেকে অনেক কথাই বলছি, কিন্তু বাস্তবে কী চিত্র দেখছি ও বরণ করছি। এর লাগাম কীভাবে টানা যাবে। অন্যান্য দেশ কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভূতপূর্ব সফলতা পেয়েছে। বর্তমান বিশ্বে ডেঙ্গুপ্রবণ দেশগুলোর তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ব্রাজিলে আক্রান্তের হার অনেক হলেও মৃত্যুহার অনেক কম (শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ), একইভাবে আর্জেন্টিনা (শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ), মালয়েশিয়া (শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ), ভারত (শূন্য দশমিক শূন্য ৯৭ শতাংশ), বলিভিয়া (শূন্য দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ), পেরু (শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুহার বাংলাদেশে (শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ)।


২০০০ হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের ধারাবাহিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ২০০০-১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৪১৫ এবং মৃত্যুবরণ করেছিল ২৩৪ জন, যেখানে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৯৫৮ শতাংশ এবং ভারতে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৫০২ জন এবং মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪২ এবং মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। একইভাবে ২০১১-২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭১ জন, মৃত্যু সংখ্যা ছিল ২৯৫ এবং মৃত্যুহার নেমে এসেছিল শূন্য দশমিক ১৬১ শতাংশে এবং ভারতে ২০১১-২১ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ১২৯ জন, মৃত্যু সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৭ জন, মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ১৯৫ শতাংশ। এ পরিসংখ্যান থেকে এটা সুস্পষ্ট যে ২০০০-১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ব্যবস্থাপনায় যে ঘাটতি ছিল তা ২০১১-২১ সাল পর্যন্ত দারুণভাবে পুষিয়ে নিয়ে সফলভাবে ডেঙ্গুর লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের পরের অবস্থা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ এবং ভারতের জন্য অত্যন্ত সুখকর। অর্থাৎ ২০২১ সাল হতে বাংলাদেশ ও ভারতের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিপরীত মেরুতে যেতে থাকে, যা এখন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থা

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us