শিল্প বিপ্লবের শুরু থেকেই একটি সমাজ বা জাতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মূল্য দিতে হয়েছে পরিবেশকে। তখন প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করার কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হয়নি। সেইসময়ে মানুষ অনেকটাই দরিদ্র ছিল। মৌলিক অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিপুল জনগোষ্ঠীকে ধীরে ধীরে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে ব্যবহার করার জন্য কেবল ছিল সীমিত পুঁজি, প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং নূন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা।
আমাদের পূর্বপুরুষদের অবশ্য এরচেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগও ছিল না। আজ তাই তাদের দোষারোপ করার কোনো মানে নেই। আমরা এখন জানি যে প্রাকশিল্প যুগের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্বন নিঃসরণ সীমিত করতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সবুজ প্রবৃদ্ধির চর্চায়।
কয়লা, তেল ও গ্যাসের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারের কারণে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ জন্য বিদ্যুৎখাত সর্বাধিক মনোযোগ আকর্ষণ করছে। কার্বন নিঃসরণের দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো উৎপাদন, পরিবহন ও কৃষি খাত।
সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনও অনেক কম। তাই আমাদের বিদ্যুৎ গ্রিডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও অনেক বছর ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকেই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ধীরে ধীরে বাজারে আসছে। কিন্তু চার্জিং স্টেশন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য সহায়ক নীতির অভাব প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহনের রাজত্বকেই দীর্ঘায়িত করছে এবং এর ফলে পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে।