আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে প্রায় মেরেই বসেছিলেন সাকিব আল হাসান। হুট করে তার হয়তো মনে হলো, এটা মিরপুর নয়, মুম্বাই। নিজেকে সামলে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাঠ ছাড়লেন চরম হতাশায়।
এমন হতাশার মুহূর্ত অবশ্য বারবারই এলো তার জন্য। নিজের বোলিংয়ের সময় হতাশায় মাথার ওপরে হাত রাখলেন। সতীর্থদের বোলিং দেখে তার শরীরী ভাষায় ফুটে উঠল হতাশা। সব মিলিয়ে আরব সাগরের পাড়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হতাশার সাগর বয়ে গেল যেন সাকিব ও বাংলাদেশ দলের জন্য। একটু স্বস্তির পরশ শুধু মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অনুরোধ করেছিলেন, “দোয়া করবেন যেন টস জিততে পারি।” ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতার প্রসঙ্গেও তিনি বলেছিলেন, “দোয়া করবেন যেন বড় রান করতে পারি।”
অধিনায়কের চাওয়ার পর দেশজুড়ে বিশেষ দোয়ার আয়োজন বা মিলাদ মাহফিল হয়েছে কি না, জানা নেই। তবে দোয়ার কমতি থাকার কথা নয়। এদের মানুষ যতটা ক্রিকেট পাগল, সব বয়সের সবার যতটা ক্রিকেট উন্মাদনা, দোয়া তারা প্রতিনিয়তই করেন। অধিনায়ক মজা করেই দোয়ার আর্জি জানান বা সত্যিই মন থেকে, ক্রিকেট অনুসারীদের দোয়া তাদের সঙ্গে থাকে সবসময়ই।