শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে চলে এসেছে হেমন্ত। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ–হেমন্তের এই দুই মাসে দিনের বেলা গরম ও রাতে হালকা ঠান্ডা পড়ে। এই সময়টায় আবহাওয়া খানিকটা শুষ্কও থাকে। খেয়াল করলে দেখবেন, ইতিমধ্যে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হয়ে উঠছে। ঠোঁটে কিছুক্ষণ পরপরই বুলিয়ে নিতে হচ্ছে পেট্রোলিয়াম জেলি বা চ্যাপস্টিক। অর্থাৎ, এই ঋতুতে ত্বক হারায় স্বাভাবিক আর্দ্রতা। এই ঋতু থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত ত্বকে বাড়তি ময়েশ্চারাইজার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে। ত্বকে মরা কোষের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই এ সময় ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন।
পরিচ্ছন্নতা সবার আগে
হেমন্তে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে প্রচুর ধুলোবালু ওড়ে। তাই হেমন্তে শুষ্ক ত্বকের যত্নে সবার আগে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শুষ্ক আবহাওয়ায় এ সময় ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায় বলে প্রতিদিনের গোসলে ব্যবহার করুন কুসুম গরম পানি। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাতমুখ ধুয়ে নিতে হবে ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে। সপ্তাহে একবার মুখে স্টিম নিন। এই সময়ে মুখে শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। বাইরে থেকে ফিরে পা ধোয়ার জন্য পানিতে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে নিতে পারেন। এ রকম আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয়, তা হলো হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া। হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে গেলে সেখানে যাতে ময়লা না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সপ্তাহে দুই দিন বাইরে থেকে এসে কুসুম গরম পানিতে মাইল্ড শ্যাম্পু, লেবুর রস ও লবণ দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর নরম ব্রাশ দিয়ে পা আলতোভাবে ঘষে মরা চামড়া ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর ভারী ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি।