প্রত্যেক বয়সের স্বাভাবিক কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। সেগুলোর বিকাশ ও প্রকাশে এক বিশেষ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। যেমন একটা শিশু চঞ্চল হবে, নানা বিষয়ে কৌতুহল থাকবে, অসংখ্য প্রশ্ন করবে সেটাই স্বাভাবিক। আবার একজন প্রৌঢ় ব্যক্তি ধীর-স্থির হবেন, আকস্মিক বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না সেটাই সংগত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে যদি প্রশ্ন করা হয়, একজন তরুণের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথমেই মাথায় আসে তারুণ্যের উন্মাদনার বিষয়টি। ওই বয়সের ছেলে বা মেয়েরা সর্বদা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকবে। নির্ধারিত কাজ, পড়ালেখা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ নানা বিষয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত রাখবে। যেকোনো উদ্যোগ গ্রহণে সোৎসাহে এগিয়ে আসবে। তাদের চিন্তা ও কর্মে ব্যক্তিস্বার্থের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে না। ঝুঁকি নিয়ে হলেও সত্য ও সুন্দরের পক্ষে দাঁড়াবে। তারা পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে নেতৃত্ব দিতে উদগ্রীব থাকবে। রাজনীতিতে অতি সক্রিয় না হলেও রাজনীতি সচেতন হবে। চারপাশের মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ ভাবনা তাকে উদ্দীপ্ত করবে। প্রয়োজনে রুখে দাঁড়াবে। অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে তারা হবে সমাজের রক্ষাকবচ। শুভ ও কল্যাণের পক্ষে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে... এমন আরো কত কী?
কিন্তু ইদানীং আপনার চারপাশের তরুণদের মাঝে তেমন বৈশিষ্ট্যগুলো কি দেখতে পাচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে যাদের সঙ্গেই আলাপ হয় তাদের কণ্ঠে এক ধরনের হতাশার সুর ধ্বনিত হয়। পরিবার, সমাজ, শিক্ষাঙ্গন, কর্মক্ষেত্র সবখানে তরুণদের বড় অংশকে কেমন যেন মনমরা ও উদ্যমহীন দেখায়। বাহ্যিকভাবে মনে হয় তারা যেন ভীষণ ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত। অনেকের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। তাদের কথা ও কাজে এক নিষ্প্রাণ ও দায়সারা উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, শিক্ষিত তরুণদের মাঝে এ প্রবণতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি!