৩৮ বছর বয়সী সোনম লেখেন যে নিখুঁত হওয়া খুব ভালো ব্যাপার নয়; বরং খুবই বোরিং, কঠোর পরিশ্রমের, অত্যন্ত খরচান্ত একটা ব্যাপার। একটা মেয়ে যখন আয়নার দিকে তাকাবে, তাকে দেখতে সেলিব্রিটিদের মতো লাগবে না, আর এটাই স্বাভাবিক। ঘুম থেকে ওঠার পর কাউকে দেখতে ‘দশে দশ’ লাগে না। কোনো তারকাকেও নয়। এমনকি বিয়ন্সেকেও নয়!
সোনম লেখেন, ‘সত্যিটা জানুন। প্রতিবার আমি বাইরে বের হওয়ার আগে অন্তত ৯০ মিনিট মেকআপের চেয়ারে বসে থাকি। ছয়জনের একটা দল আমার হেয়ার আর মেকআপ করে। পেশাদার শিল্পীরা আমার নখ শেষবারের মতো পলিশ করে দেন। প্রতি সপ্তাহে আমার ভ্রু ট্যুইজ করা হয়। কাট বদলে যায়। শরীরের এমন সব জায়গায় কনসিলার লাগানো হয়, যেটা আমি কখনো ভাবিনি।’
এক বছর বয়সী এক সন্তানের এই মা আরও জানান, তিনি প্রতিদিন ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে ওঠেন। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অর্থাৎ দেড় ঘণ্টা সময় জিমে কাটান। মাঝেমধ্যে আবার সন্ধ্যায়ও জিম করেন। তাঁর একটা ডায়েটিশিয়ানের দলই আছে, যারা ঠিক করে দেয় সারা দিনে কী খাবেন, কতটুকু খাবেন। আরেকটা দল আছে যারা সারা বিশ্বের ফ্যাশনের খোঁজখবর রাখে আর ঠিক করে দেয় সোনম কোথায় কী পরে যাবেন। সোনমের ফেসপ্যাকে যা থাকে, অনেকের খাদ্যতালিকায়ও এই উপাদান থাকে না। আর এত কিছুর পরও যখন ‘নিখুঁত’ লাগে না, তখন শুরু হয় ফটোশপের কারবার।