দেশের পুরাকীর্তির সন্ধান করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এসব পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে সংরক্ষণের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ যেমন আছে, তেমনি গবেষণায়ও পিছিয়ে রয়েছে দেড় শ বছরে পুরোনো এ অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত খননকাজেই সীমাবদ্ধ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আছে দেশের ৫১৭টি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। সারা দেশে মোট ২২টি জাদুঘর পরিচালিত হয় এ অধিদপ্তর থেকে। প্রতিদিন সেসব জাদুঘর ঘুরে দেখেন শত শত দর্শনার্থী। তাঁরা জাদুঘরে সংরক্ষিত নানা প্রত্নবস্তু ও এ-সংক্রান্ত তথ্য দেখে ইতিহাসের ধারণা পান। এই ইতিহাস যথাযথভাবে তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অধিদপ্তরের।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি কথা হয় বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীদের সঙ্গে। তাতে উঠে এসেছে গবেষণার ঘাটতির কারণে প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ না হওয়ার তথ্য। প্রদর্শনের দুর্বলতা ও সংরক্ষণের অব্যবস্থাপনা আছে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোয়। কিছু জায়গা বেদখল হওয়ার অভিযোগ আছে।