দেশের ব্যাংক খাতে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ার সংস্কৃতিটি বহুদিনের। তবে গত পাঁচ বছরে এ চিত্র অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এ সময়েই দেশের ব্যাংক খাতের ক্ষত গভীর হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ ঋণের অর্ধেকের বেশি সৃষ্টি হয়েছে গত পাঁচ বছরে। ২০১৮ সাল শেষেও ব্যাংকগুলোর দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়া এ ঋণের পরিমাণ চলতি বছরের জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৩০৯ কোটি টাকায়। সে হিসাবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১২১ শতাংশের বেশি। দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ২৬ দশমিক ৭৯ শতাংশই এখন দুর্দশাগ্রস্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে প্রভাবশালীরা দেশের ব্যাংক খাত থেকে নামে-বেনামে কয়েক লাখ কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছেন। এসব ঋণ এখন ফেরত আসছে না। খেলাপির ঝুঁকিতে পড়ছে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণ। এ কারণে পুনঃতফসিল করে ঋণগুলো নিয়মিত দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংক খাতে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।