শুভ-অশুভ মিলিয়ে যাত্রা ক্লান্তিকর। সেই ওয়াশিংটন থেকে দোহা ১৩ ঘণ্টা। এরপর বিরতির পর সবটা মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। এর মধ্যে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচয়। যাওয়ার সময় একদলের সঙ্গে পরিচয়, যাঁরা যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকা। তাঁদের লক্ষ্য, যাবেন কলম্বিয়া। ভাষা শিখেছেন, শিক্ষিত। কিন্তু সেখানকার লেখকদের, বিশেষ করে মারকেজের লেখা থেকে জেনেছি প্রবল দারিদ্র্যও সেখানে। তবু প্রবাস ভালো। ছেলেগুলোকে বেশ বুদ্ধিমান মনে হলো, একটুখানি সমাজ সচেতনও। তবু ওই দেশে কেন যাচ্ছেন, বোধগম্য হলো না।
বাঙালিকে একসময় মনে হতো ঘরকুনো। ইংরেজিতে বলা হতো ‘হোম সিক’। কথাটা আজকে নয়, বহু আগে থেকেই সত্য নয়। বাংলার সব শহরেই একটা ব্যবসার এলাকা ছিল। যার নাম ঢাকাইয়াপট্টি। এখানে বিশেষ ধরনের কিছু গার্হস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যেত। তাঁরা সবাই বিক্রমপুরের অধিবাসী। এখনো বাংলার বিভিন্ন শহরে তাঁদের অস্তিত্ব রয়ে গেছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, লক্ষ্ণৌ, এলাহাবাদ থেকে শুরু করে ভিন্ন জাতীয়তার দেশে এই অভিবাসন খুবই লক্ষণীয়। এমনকি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে বিপুলসংখ্যক বাঙালি পাওয়া যাবে। এসব জায়গায় দুর্গাপূজা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দুর্গাপূজার সময় কলকাতা থেকে বিভিন্ন নাট্যদল, গানের-নাচের দল এবং বড় বড় কণ্ঠশিল্পীর আগমন ঘটে।