বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কা ও ভাবনার ‘ভারতীয়’ স্পাই-থ্রিলার ছবি ‘খুফিয়া’। ‘মকবুল’, ‘কামিনে’, ‘ওমকারা’ কিংবা ‘সাত খুন মাফ’-এর পর বিশাল ভরদ্বাজের আলোচিত ও নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত (৫ অক্টোবর, ২০২৩) ছবি ‘খুফিয়া’। অমর ভূষণের উপন্যাস ‘এস্কেপ টু নো হয়ার’ অবলম্বনে ১৯৯৯-এর কারগিল যুদ্ধের পর গোয়েন্দাদের মধ্যকার বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে এক চতুর্মুখী থ্রিলার ‘খুফিয়া’। টাবুর সঙ্গে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের দারুণ অভিনয় করা এক ছবি ‘খুফিয়া’। গোয়েন্দা গল্পের ভেতর দেশপ্রেম কিংবা ভিন্নরকম কিছু একটা থাকার ছবিও ‘খুফিয়া’।
‘খুফিয়া’ মানে অজ্ঞাত। তবে ছবির কাহিনি আদৌ অজ্ঞাত নয়। কারগিল যুদ্ধের পর (আনুমানিক ১৯৯৯ থেকে ২০০৪) পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ (ইন্টার সার্ভিস ইনটেলিজেন্স) এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং)-এর মধ্যকার প্রতিযোগিতা, খবর সংগ্রহের নেশা আর বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে পর্যবেক্ষণমূলক(?) এক এসপিওনাজ ছবি ‘খুফিয়া’। হেনা রহমান, যার গোয়েন্দা নাম অক্টোপাস, সে কাজ করতে চায় ‘র’-এর সাথে। বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স বা এনএসআই-এর হিসাব বিভাগে কর্মরত হেনা রহমান শেষমেশ জড়িয়ে যায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে, কারণ বাবার ক্যানসার চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। বাংলাদেশে যেন জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না আসে কিংবা জঙ্গিরা যেন সারা দেশে বোমাবাজি না করতে পারে সেজন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশকে আইএসআই-এর প্রভাবমুক্ত রাখতে চায়। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের নিজস্ব গোয়েন্দাদের ভেতরও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয় এবং কৃষ্ণা মেহেরার সাথে রবি মোহনের ভুল বোঝাবুঝির কারণে খুন হয় রবির মা। যদিও শেষে এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে, কিন্তু তার আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাকলায়েন মির্জার হাতে হেনা ওরফে অক্টোপাস খুন হয়, আর মির্জার লাশ পাওয়া যায় আমেরিকার এক বাড়ির বাথটাবে।