বিয়ের আগে যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই করানো উচিত

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১২

তানিয়া ও রাকিব দম্পতির ১০ বছরের বিবাহিত জীবন। তাঁদের সাত বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। কিন্তু সন্তানটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসক বলেছেন, বিয়ের আগে স্বামী-স্ত্রীর একটি রক্ত পরীক্ষা করানো হলে এই রোগ ঠেকানো যেত।


নামগুলো কাল্পনিক হলেও মানুষগুলো বাস্তব। এ রকম ঘটনা আমাদের আশপাশে প্রায়ই দেখা যায়। তাই বিয়ের আগে জরুরি কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার, নয়তো জীবনে ঘটে যেতে পারে এ রকম অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।


বিয়ের আগে যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত


১. হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস: পরীক্ষাটির মাধ্যমে বর বা কনে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কি না, কিংবা এই রোগের বাহক কি না, জানা যায়। বর ও কনে দুজনেই এই রোগের বাহক হলে তাঁদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়ার মতো দুরারোগ্য ব্যাধি হতে পারে। তাই অনাগত সন্তানের কথা ভেবে থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়।


২. ব্লাড গ্রুপিং এবং আরএইচ টাইপিং: হবু বর-কনের রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তান ধারণে কোনো সমস্যা হয় না। তবে রক্তের গ্রুপের রেসাস বা আরএইচ ফ্যাক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (অর্থাৎ রক্তের গ্রুপ পজিটিভ নাকি নেগেটিভ)। কেননা মা আরএইচ নেগেটিভ, কিন্তু বাবা আরএইচ পজিটিভ হলে অনাগত সন্তান পেটের মধ্যে থাকা অবস্থায় ইরাইথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস নামে মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে মা আরএইচ নেগেটিভ, কিন্তু বাবা আরএইচ পজিটিভ হলেও প্রথমবার গর্ভধারণের সময় থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিলে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।


৩. যৌনবাহিত রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা: এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ইত্যাদি মারাত্মক রোগগুলো স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিয়ের আগে এসব রোগ শনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা হবু বর-কনে দুজনকেই নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী রাখে এবং পরবর্তী সময়ে সন্তানের মধ্যে এসব রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us