৪৬ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি এই আলোচিত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি একটা বিড়াল, যে ইতিমধ্যে অন্তত নয়বার মৃত্যুবরণ করে বারবার জন্মেছে। আর প্রতিবার আগের চেয়ে আরও সাহসী, আরও শক্তিশালী আর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফিরেছে। আমি বাস্তবতাকে বারবার প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছি, প্রচণ্ড কষ্টের সাগরে ডুবে গেছি, হতাশার অতল গহ্বরে পড়ে গেছি, রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে মনে হয়েছে সবকিছু তছনছ করে ফেলি, সঙ্গে নিজেকেও। কেবল সন্তানদের দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামলে নিয়েছি।’
তবে শাকিরার দুই ছেলে মিয়ামিতে বেশ আছে। সেখানকার স্কুল তাঁদের পছন্দ হয়েছে। আর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার ক্লিকও শুরু হয়ে যায় না। কেউ হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে জিজ্ঞেসও করে না, ‘মা কেমন আছে? বাবাকে মিস করো?’
শাকিরা জানান, পিকের বিশ্বাসঘাতকতার পর থেকে বার্সেলোনায় তাঁদের বাড়িটাকে তাঁর মনে হতো বিরাট একটা খোলা জেলখানা। সেখানে তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হতো। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কোনো উপায় ছিল না। বাড়ির সামনে, রাস্তার মোড়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পাপারাজ্জিরা ক্যামেরা তাক করে ছিল। সন্তানদের নিয়ে যে কোথাও গিয়ে একটু আইসক্রিম খেয়ে আসবেন, সে উপায়ও ছিল না।