শিশুদের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র হওয়ার কারণ, চিকিৎসা ও করণীয়

ঢাকা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৬

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ১,০০০ শিশুর মধ্যে আট থেকে নয়জন হৃৎপিণ্ড বা হার্টের ছিদ্রজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা মূলত একটি জন্মগত ত্রুটি। সাধারণত গর্ভাবস্থায় শিশুর হৃৎপিণ্ডের বিকাশজনিত সমস্যার কারণে এই ছিদ্র দেখা দিতে পারে।


যদি শুরুতেই সমস্যাটি ধরা পড়ে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। তবে যদি দেরি হলে জটিলতা আরও বেড়ে যায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এর চিকিৎসা কেমন হবে সেটা নির্ভর করে ছিদ্রটি হার্টের কোথায় আছে এবং ছিদ্রটি কতো বড় সেটার ওপর।


হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র
মানুষের হৃৎপিণ্ডের চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে। ওপরের দুটি হল অলিন্দ বা অ্যাট্রিয়া ও নিচের দুটি নিলয় বা ভেন্ট্রিকল। ওপরের দুটি অ্যাট্রিয়া ইন্টারএট্রায়াল সেপ্টাম নামক পর্দা দিয়ে আলাদা করা থাকে এবং নিচের দুটি ভেন্ট্রিকল আলাদা করে রাখে ইন্টারভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাম নামে আরেকটি পর্দা।


শিশুরা হার্টের বিভিন্ন অংশে ছিদ্র নিয়ে জন্মাতে পারে। ওপরের প্রকোষ্ঠের পর্দায় কোন ছিদ্র থাকলে তাকে অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (এএসডি) বলা হয়। নিচের পর্দার মধ্যে কোন ছিদ্র থাকলে তাকে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি) বলে। এই ছিদ্রের কারণে হার্ট ও ফুসফুসের মধ্যে রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে।


মানবদেহের ফুসফুস রক্তে অক্সিজেনের যোগান দেয়। আর সেই অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সারা শরীরে পরিবহনের কাজ করে হৃদপিণ্ড।


শরীরের দূষিত রক্ত মহাশিরার মাধ্যমে প্রথমে হৃদপিণ্ডের ডান অলিন্দে প্রবেশ করে তার পর ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। এই নিলয় থেকে দূষিত রক্ত ফুসফুসীয় ধমনীর মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছায়। ফুসফুস ওই দূষিত রক্তে অক্সিজেনের যোগান দেয়। এরপর ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত হৃদপিণ্ডের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে এরপর বাম নিলয়ে যায়। হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে আসা এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত মহা-ধমনীর মাধ্যমে সারা শরীরে প্রবাহিত হয়।


হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকলে অর্থাৎ এএসডি বা ভিএসডি থাকলে ফুসফুসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রক্ত চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। কারণ ছিদ্রটি রক্তের স্বাভাবিক গতিপথে বাধা দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us