বৃষ্টি হলেই নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকা তিন ফুট পানির নিচে চলে যায়। জমে থাকা পানি বের করার সুযোগ নেই। দিনের পর দিন হাসপাতাল চত্বরে জমে থাকা পানির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স, রোগী, স্বজন ও কর্মচারীদের। সেই সঙ্গে সাপের উৎপাত বাড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মাঠে জমে থাকা পানি শুকাচ্ছে না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাসপাতালের মূল ভবনসহ নতুন বিল্ডিং, স্টাফ কোয়ার্টার, মসজিদ, করোনা ইউনিটসহ পুরো এলাকা পানিতে টইটম্বুর। স্টাফ কোয়ার্টারের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের প্রধান ফটক (গেট) থেকে জরুরি বিভাগ পর্যন্ত যেতে পানি মাড়িয়ে অতিকষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে নারী-শিশু-বয়ষ্কদের চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে এই সামান্য (৪০ ফুট) পথ পাড়ি দিতে রিকশা ভাড়া নিচ্ছেন। নার্স ও অন্যান্য কর্মী যারা স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন তারাও বাসা ও হাসপাতালে যাতায়াতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে রিকশা ব্যবহার করছেন।