ঘটনাটি পরিচিত। বহুবার জানাশোনায় ক্লিশে, জীর্ণ: গ্রামে, প্রান্তিক মানুষের যৌতুক-সংক্রান্ত মামলা। বিয়ের সাত-আট মাস পর বাপের বাড়ি আসে পাত্রী, দিনকয়েক পর পাত্র এসে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবে, এমনই কথা ছিল; কিন্তু পাত্র আর আসে না। উল্টো তিন লাখ টাকা যৌতুক চায়, না দিলে বউকে সে আর বাড়ি নেবে না, জানিয়ে দেয় শ্বশুরকে। পাত্র আরও দাবি তোলে– মেয়ে কালো। কালো মেয়েকে বিয়ে করে ভুল করেছে সে। এখন তিন লাখ টাকা পেলে সে তাকে ঘরে ফেরত নিতে পারে!
পাত্রীর বয়স কত? ১৮? ১৯? বোরকায় আবৃত মেয়েটির বয়স বোঝা মুশকিল, তার পিতা নূরুল আমার শৈশবের খেলার সাথি, শৈশবে এক দমে আমরা দিগন্ত ছুঁতে চেয়েছি– এখন আমাদের দু’জনেরই বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে, ময়মনসিংহের নিভৃত গ্রাম থেকে সে কন্যাকে নিয়ে রাজধানী আসে। কন্যাকে নূরুল জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের হয়ে মামলা লড়বার মতো ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক আছে তার। আপিস-দপ্তরে পিতা-কন্যার মুখোমুখি বসে পরিচিত ঘটনা আমার সামনে অপরিচিত হয়ে ধরা দেয়।