রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা আয়েশা বিনতে ইসলামের আট মাস আগে যক্ষ্মা শনাক্ত হয়। স্থানীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সেন্টার থেকে পাওয়া বিনামূল্যের ওষুধ তিন মাস সেবন করেন। কিন্তু উপসর্গ কিছুটা কমে গেলে ওষুধ ছেড়ে দেন। গত মাসে আবার সমস্যা দেখা দিলে বেসরকারি হাসপাতালে যান এবং পরীক্ষায় যক্ষ্মা শনাক্ত হয়। এবার চিকিৎসক আয়েশার মোবাইলে ‘জানাও’ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবন্ধনের মাধ্যমে তাঁর বিষয়ে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে (এনটিপি) অবহিত করেন। এরই মধ্যে এনটিপির আওতায় ওষুধ পেয়ে নিয়মিত সেবন করছেন আয়েশা। সব ঠিক থাকলে শিগগিরই তিনি যক্ষ্মামুক্ত হবেন।
শুধু আশেয়া নন; গত চার বছরে ‘জানাও’ অ্যাপের মাধ্যমে অন্তত ৭ হাজার রোগী যক্ষ্মার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ইউএসএআইডির সহায়তায় ২০১৮ সালে প্রস্তুত করা হয় অ্যাপটি। পরের বছর ৫০০ চিকিৎসক নিয়ে পাইলট আকারে অ্যাপটির ব্যবহার শুরু হয়। সাফল্য দেখে এক পর্যায়ে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে রেজিস্টার্ড কোনো চিকিৎসক যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান পেলে তাঁকে এ অ্যাপে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন।