১৫ বছরে বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ। এর মধ্যে প্রতি বছর আমেরিকা, কানাডা এবং ইংল্যান্ডে শিক্ষার্থী যাওয়ার সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। শুধু আমেরিকাতেই আছে ১০,৫০০ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে বড় একটি অংশ গিয়েছে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়তে।
যুক্তরাষ্ট্রে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরে পড়তে গেলে স্কলারশিপ খুব কম পাওয়া যায়। এর মধ্যে ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ খুবই দুর্লভ। ফুল ব্রাইট পেতে হলে রেজাল্ট অনেক ভালো হতে হবে এবং একই সাথে একটু গরিব হলে তা সহজ হয়। অনেকেই সামান্য অর্থের আংশিক স্কলারশিপ পায় কিন্তু অধিকাংশই নিজ খরচে পড়তে যায়। ধারণা করতে পারেন, দেশ থেকে কত হাজার ডলার শুধু শিক্ষা খাতে চলে যাচ্ছে?
এই যে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী ডলার খরচ করে বিদেশে নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছে, তাদের একটি অংশকে যদি ফিরিয়ে আনতে পারতাম তাহলেও বলা যেত ডলার ভেঙে শিক্ষা কেনাটা কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকারেরা আদিকাল থেকেই এই জায়গায় কোনো গুরুত্ব দেয় না।
১৫ বছরে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ। তার ইমপ্যাক্ট কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের বিদেশ যাওয়া কমছে না কেন? কারণ শিক্ষার মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার পরিবেশ ভালো না।
বিশ্বে এত নিম্নমানের শিক্ষক এবং শিক্ষার পরিবেশ খুব কম দেশেই আছে। যেই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার মতো যথেষ্ট যোগ্য মানুষ নেই সেই দেশে ভবন বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নাম দিয়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দিয়ে বলা হচ্ছে এরা শিক্ষক।
এমন মানুষদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানাচ্ছে যারা জানেই না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা মানে কী, গবেষণা মানে কী, শিক্ষকদের কী করা উচিত আর কী করা একদম অনুচিত। এদের আচরণ দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এদের দেখে সবাই মনে করে ‘ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানে এমন!’