বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড় তানজিম হাসান সাকিব বিসিবি’র কাছে বলেছেন, তার পোস্টের কারণে কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি দুঃখিত। বিসিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং অতি সম্প্রতি দক্ষতার প্রমাণ দেওয়ার সুবাদে বিষয়টি ওখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তার ফেসবুক পেজে নারীর প্রতি অবমাননাকর পোস্টে যারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তাদের ক্ষোভের মাত্রা আরেক দাগ বেড়ে যায়। ফেসবুক অ্যাকটিভিস্টরা একের পর এক আপত্তিকর পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল করতে থাকে– তার ফেসবুক পেজ থেকে নিয়ে। তারা একজন জাতীয় ক্রিকেটারের কর্মকাণ্ড-বিশ্বাসকে দেশদ্রোহিতার শামিল হিসেবে আখ্যায়িত করতে থাকে একইসঙ্গে।
জাতীয় খেলোয়াড়, বয়সে তরুণ, তাই তার বক্তব্যকে ওইভাবে গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ কারো কারো। কিন্তু এখানেও তর্ক চলে। যে ব্যক্তিটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার মতো ক্ষমতাধর, তার পক্ষে নিজ দেশের রক্তার্জিত স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা করার ঘটনাকে তারাও মেনে নিতে পারেন না। ইউটিউবে প্রচারিত একটি ফুটেজে দেখা গেছে, ক্রিকেট খেলা শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় সব খেলোয়াড় নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সংগীত গাইছেন। কেউ হয়তো শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বুকে হাত রেখেছেন। একজনকে দেখা গেলো মোবাইল সামনে রেখে জাতীয় সংগীত গাইছেন। উদ্দেশ্য সংগীতটা যেন নির্ভুল হয়। এসবই জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। এটা নাগরিক হিসেবে সবাইকে করতে হয়। ফুটেজে দেখা গেলো তানজিম হাসান সাকিব ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছেন। জাতীয় সংগীত চলাকালে কারো সংগীত গাইতে হবে কিংবা বুকে হাত দিতে হবে এমন কোনও নির্দেশনা নেই। কিংবা ঠোঁট মিলানোও আইনি বাধ্যবাদকতা নেই। কিন্তু দেশের প্রতি আনুগত্য পোষণকারী রীতি হিসেবে কিছু আচরণ করেন যা তাদের শ্রদ্ধার বহিপ্রকাশ। কিন্তু সেই ফুটেজে যা দেখা গেলো, তাতে স্পষ্ট মনে হয় তিনি মনের বিরুদ্ধে ওই সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন।