আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনই এখন দেশের রাজনীতির মুখ্য বিষয়। বর্তমান সরকার তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সরকার পরিচালনা করছে। এত দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে আর কোনো সরকার থাকেনি। দেশে ও বিদেশেও অনেক ব্যক্তি ও পক্ষ এবার যেন ক্ষমতার পরিবর্তন চাইছেন। প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে আবারও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরতে চায়। তাদের চেষ্টা হলো এ পর্যায়ে আন্দোলনে এটিকেই মূল ইস্যু হিসেবে রেখে জনসমর্থন আদায়। এ দাবি নাগরিক সমাজের একটি অংশেরও সমর্থন পাচ্ছে মূলত পূর্ববর্তী দুটি নির্বাচনের কারণে। এর পর গত পাঁচ বছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেবলই কমেছে।
সাধারণ পর্যবেক্ষণে মনে হয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন কিছু না ঘটলে ভোটারদের নির্বাচনমুখী করা যাবে না। তবে এটাও ঠিক, নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ পরিস্থিতি পাল্টে দেবে। এই বাস্তবতায় ক্ষমতাসীন দল দুটি লক্ষ্য নিয়েই হয়তো এগোচ্ছে- প্রথমত, বিরোধী দলের মূল দাবি এড়িয়ে তাদের নির্বাচনে আনা যায় কিনা তা দেখছে, দ্বিতীয়ত, বিএনপি বর্জন করলেও নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের হার গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করা যায় কিনা। এর বাইরে হয়তো তৃণমূল বিএনপির মতো আরও কিছু সংগঠনের আবির্ভাব বা নিজেদের জোটের পরিসর বৃদ্ধি, জোটসঙ্গীদের গুরুত্ব বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা পদক্ষেপও দেখা যেতে পারে।