আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ, গণতান্ত্রিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়নীতিভিত্তিক সমাজ গঠন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, জানমালের নিরাপত্তা বিধান, ধর্ম পালন, নিজস্ব সংস্কৃতি-মূল্যবোধ-বিশ্বাসের অবারিত চর্চা নিশ্চিত করা ইত্যাদি সাধারণ জাতীয় আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য মতপ্রকাশের মাধ্যম হলো সরকার নির্বাচন। প্রতিটি জাতির জন্য অপরিহার্য। দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় অনেক আন্দোলন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
গোটা জাতির অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে শুধু শাব্দিক অর্থে নয় প্রকৃত প্রস্তাবে অর্থবহকরণে সবার সচেষ্ট থাকার অনিবার্যতা অনস্বীকার্য। ভিন্নমুখী ব্যাখ্যার বাতাবরণে স্বাধীনতার অর্জন যাতে কোনোভাবেই ম্লান না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখার আবশ্যকতা রয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন যত কঠিন, স্বাধীনতা রক্ষা করা তার চেয়ে বেশি কঠিন। চলমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট এবং দেশিক বাস্তবতায় এই বিষয়টি নানাভাবে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতির স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়ন সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম ও পদক্ষেপ গ্রহণের দ্বারা অর্থনৈতিক শক্তির সমৃদ্ধি ছাড়া স্বাধীনতা টেকসই হতে পারেও না।